এই বন্ধুরা,
আপনারা একবার হলেও ব্ল্যাকহোল নামক বস্তুটির কথা শুনেছেন । যদিও বা এটি একটি বস্তু বলা ঠিক হবে না । কারণ এটি মহাকাশের একটি রাক্ষস । মহাবিশ্বের সব থেকে বেশি রহস্যময় ও অদ্ভুত জিনিস হল ব্ল্যাক হোল যেখানে ভৌত বিজ্ঞানের কোন নিয়ম কাজ করেনা । আজকের দিনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এত উন্নত হলেও বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাকহোলের পুরোপুরি 100 ভাগ রহস্যভেদ করতে পারেননি । ব্ল্যাক হলো এমন একটি জায়গা যেখানে ঘনত্ব মাধ্যাকর্ষণ বল মহাবিশ্বের যেকোনো জিনিস এর থেকে বেশী । এমনকি ব্ল্যাকহোলের মাঝখান দিয়ে আলোর ফোটন কণাও প্রবেশ করতে পারে না । তাই প্রথম হওয়াটাই স্বাভাবিক যে, কি থাকে ব্ল্যাক হোলের মধ্যে যে কারণে এর ঘনত্ব ও মাধ্যাকর্ষণ বল এত বেশি । এবার ভেবে দেখুন তো, এই ব্ল্যাক হোলের মধ্যে যদি কোন মানুষ পড়ে যায় তাহলে কি ঘটবে তার সাথে । আজ AHK Global Fiction সহজ ভাষায় আপনাকে এসব প্রশ্নের উত্তর দেবে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাসহ । তো চলুন শুরু করা যাক.........
কোন নক্ষত্র ধ্বংস হবার পর দুটো জিনিসই হয় । প্রথম হলো ওই নক্ষত্রটি থেকে নিউটন নক্ষত্র তৈরি হতে পারে এবং দ্বিতীয়টি হলো তার থেকে ব্ল্যাকহোল জন্ম নিতে পারে । যে কোন নক্ষত্রের দুইরকম বিপরীতমুখী শক্তি থাকে । একটি হলো গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স অর্থাৎ মহাকর্ষীয় শক্তি যেটা সবকিছুকে আকর্ষণ করে । অপরটি হল রেডিয়েশন ফোর্স অর্থাৎ বিকিরণ শক্তি যেটা মাধ্যাকর্ষণের ঠিক বিপরীতভাবে কাজ করে । এই শক্তির মধ্যে সমতা অথবা ব্যালেন্স বজায় থাকলে নক্ষত্র টিকে থাকতে পারবে অর্থাৎ আমাদের নক্ষত্র অর্থাৎ সূর্য এই শক্তির সমতা বজায় রেখেছে ।প্রত্যেকটি নক্ষত্র নিউক্লিয়ার ফিউশন এর মাধ্যমে তাপ ও শক্তি উৎপন্ন করে । এই ফিউশন থেকেই রেডিয়েশন তৈরি হয় যেটা মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বিপরীতে কাজ করে । অতিমাত্রায় বড় এক্সেল নক্ষত্র গুলির মধ্যে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে । নিউক্লিয়ার ফিউশনের সময় এইসব নক্ষত্র নিজে করে হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, কার্বন, নিয়ন, অক্সিজেন, সিলিকন ও আইরন তৈরি করে । আসল সমস্যাটি আয়রনের কারণেই দেখা যায় । কারণ আইরন কোন বস্তুর সাথে ধ্রব হয় না বা ফিউজ হয় না । এভাবে ধীরে ধীরে আয়রনের পরিমাণ বাড়তে থাকে । একটা সময় আয়রন বেশি হওয়ার কারণে নিউক্লিয়ার ফিউশান হওয়া বন্ধ হয়ে যায় । ফলে রেডিয়েশন ফোর্সও আর তৈরি হয় না । অর্থাৎ নক্ষত্রটির পুরো ব্যালেন্সই নষ্ট হয়ে যায় । তখন শুধু একটাই শক্তি রাজত্ব করে আর সেটা হলো মহাকর্ষীয় বল । ফলে নক্ষত্রটির কোর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় । নক্ষত্রটির পুরো মাস নিজেরই মহাকর্ষীয় বলের প্রভাবে সংকুচিত হতে শুরু করে । তখনই হয় 'সুপার্ণভা এক্সপ্লোশন'। যার ফলে কোন নিউটন স্টার বা কোন ব্ল্যাক হোলের জন্ম নেয় । কোন ব্ল্যাকহোলের ভেতর সেই নক্ষত্রের পুরো মাছের ঘনত্ব বজায় থাকে । একটা ছোট্ট আকারের অর্থাৎ যখন একটি নক্ষত্র ব্ল্যাকহোলে পরিণত হয় তখন সেটা আকারে অনেক ক্ষুদ্র হয়ে যায় । স্বাভাবিক ভাবে তার ঘনত্বও অনেক বেশি হয়ে যায় । ধরে নিন আমাদের পৃথিবী যদি পরিণত হয় তাহলে মানুষের শরীরের একটি চুলের মত আকার ধারণ করবে । স্বাভাবিকভাবে পুরো পৃথিবীর ঘনত্ব একটা চুলে থাকলে তার ঘনত্ব বেশি হওয়াটা স্বাভাবিক এবং তার থেকে কোনোভাবেই কোনো বস্তু এমনকি আলোক কণাও ভেদ করতে পারবে না ।
তো বন্ধুরা ব্ল্যাকহোলের কনসেপ্টটা আশা করি আপনারা বুঝেছেন । এবার জানা যাক ব্ল্যাকহোলের প্রকারভেদ এবং ব্ল্যাকহোলের ভিতরে কি থাকে ?
চার রকমের ব্ল্যাকহোল আছে । নাম্বার ওয়ান স্তেইলর । নাম্বার 2 ইন্টারমিডিয়েট । নাম্বার 3 সুপারম্যাসিভ । নাম্বার ফোর মিনিয়েচার ।
ব্ল্যাকহোলের ভেতরে প্রবেশ করবার আগে আমরা জেনে নেব এর মধ্যে কি কি রয়েছে । ব্ল্যাকহোলের দুটি অংশ থাকে একটি হলো সিঙ্গুলারিটি । এই সিঙ্গুলারিটি ব্ল্যাকহোলের প্রধান বিন্দু । এই বিন্দুতেই নক্ষত্রটির ধ্বংস হয়েছিল ।
দ্বিতীয়টি হলো ইভেন্ট হরাইজন । আর এই বিন্দুতে ব্ল্যাকহোল জন্ম নিয়েছিল । মাথায় রাখবেন, যেখান থেকে মহাবিশ্ব শুরু হয় সেখান থেকে ব্ল্যাকহোলের শুরু হয় । একে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের পাইপের বাইরের অংশের সাথে তুলনা করা যায় । ইভেন্ট হরাইজন অব্দি আলোক কণা ঢুকতে পারে কিন্তু এরপর থেকে লাইট অফ করতে পারে না ।
এবার জানা যাক আমাদের সেই প্রশ্নটির উত্তর অর্থাৎ তাহলে কি হবে যদি আপনি ব্ল্যাকহোলের ভেতরে পড়ে যান ?ইভেন্ট হরাইজনকে পার করার পরে আপনার পুরো শরীর থেকে প্লাস্টিকের মত কাজ করবে অর্থাৎ কল্পনা করুন ব্ল্যাকহোলে পড়ার সময় যদি আপনার পা নিচের দিকে থাকে তাহলে আপনার শরীরের নিচের অংশে মহাকর্ষ বলের প্রভাব বেশি পড়বে এবং মাথায় তুলনামূলক কম মহাকর্ষ বল কাজ করবে । অত্যাধিক মহাকর্ষীয় বল প্রভাবে আপনার শরীরের সমস্ত কোনা আলাদা হয়ে যেতে থাকবে । যার ফলটা আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন । আপনি যতই সিঙ্গুলারিটির দিকে যেতে থাকবেন ব্ল্যাকহোলের ঘনত্ব ততই বাড়তে থাকবে । যেমনঃ ১ সেন্টিমিটার এগুলো লক্ষগুণ মহাকর্ষীয় বল বেড়ে যাবে আর এটা বাড়তেই থাকবে । অর্থাৎ বলাই বাহুল্য আপনার শরীর ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে মাইক্রোসেকেন্ড, তারও মাইক্রো সেকেন্টের কম সময়ে । আপনি কত তাড়াতাড়ি মারা যাবেন এটা নির্ভর করবে ব্ল্যাকহোলের ঘনত্বের উপরে । ব্ল্যাকহোল যত ছোট হবে তার ঘনত্ব ততই বেশি হবে । আর আপনি ইভেন্ট হরাইজন ছুঁতেই মারা যাবেন । যদি ব্ল্যাক হোল বড় হয় তাহলে আপনি কিছু মাইক্রোসেকেন্ড হয়তো বেশি জীবিত থাকতে পারবেন । কিন্তু সিঙ্গুলারিটি পয়েন্টে পৌঁছালে আপনার মৃত্যু অবধারিত । বড় ব্ল্যাক হোল গুলোতে সিঙ্গুলারিটি থেকে ইভেন্ট হরাইজনের দূরত্ব বেশি হয় । ফলে ঘনত্ব ও মহাকর্ষ বল তুলনামূলক কম হয়। আপনার শরীর কোন সিঙ্গুলারিটিকে টাচ করা মাত্রই ব্লাকহলের পুরোপুরি বিপরীত শক্তি কাজ করতে শুরু করবে । অর্থাৎ এখনো পর্যন্ত ব্ল্যাকহোল সবকিছু নিজের ক্ষেত্রের দিকে আকর্ষণ করছিল কিন্তু এখন বিকর্ষণ বল কাজ করবে । সহজ কথায় বলতে নিজের থেকে দূরে পাঠিয়ে দেবে আর আপনার শরীরের কোন হোয়াইট হোল দিয়ে বাইরে বের হয়ে যাবে । যদি ব্ল্যাক হোল থাকে তবে হোয়াইটহলও রয়েছে । এই হোয়াইটহলও আপনাকে এক ইউনিভার্স থেকে অন্য ইউনিভার্সে ফেলে দেবে অর্থাৎ বলা যেতে পারে ব্ল্যাকহোল এবং হোয়াইটহোল আয়নার প্রতিবিম্বের মত । কিন্তু এদের কাজের প্রক্রিয়া পুরোপুরি বিপরীতমুখী । হোয়াইটহোল বস্তুকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে না বরং নিজের কক্ষ থেকে দূরে সরিয়ে দেয় । অর্থাৎ এটাকে একটা দরজা বলা যেতে পারে একটি থেকে অপর একটি ইউনিভার্সেলে যাওয়ার । হয়তো যেটাকে আমরা ব্ল্যাকহোলে হিসেবে চিনি অন্য ইউনিভার্সেল সেটা হয়তো হোয়াইটহোল রূপে দেখা যায় । অর্থাৎ হোয়াইটহোল আর ব্ল্যাকহোল একে অপরের সাথে যুক্ত । এই পুরো সিস্টেমকে বলা হয়ে থাকে ওয়ার্মহোলও বলা হয়ে থাকে । কিন্তু এই পুরো পদ্ধতি বৈজ্ঞানিক অনুমান ও কল্পনা । শুধু তাই নয়, আমরা যেসব ব্ল্যাকহোল কে দেখি সেগুলি সবই বিজ্ঞানীদের কল্পনা । অর্থাৎ বলাই বাহুল্য ইন্টারনেটের ব্ল্যাকহোলের যেসকল ছবি আপনারা দেখতে পান তা সম্পূর্ণই কল্পনাকে ভিত্তি করে । এবার হয়তো আপনি ভাবছেন বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাকহোল আছে তার ১০০% দাবি কি করে করতে পারে । সেটা কি পরীক্ষা না করেই ?
তাহলে আমি বলব একবার ভেবে দেখুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা করার জন্য কোন মানুষের জীবন বিপন্ন করতে হবে । থিউরি অনুযায়ী কোন মানুষ ব্ল্যাক হোলের মধ্যে ঢুকলে তার মৃত্যু অবধারিত । অর্থাৎ তার থেকে কোনরকম ইনফরমেশন বিজ্ঞানীরা পাবেননা । ব্ল্যাকহোলকে কাছ থেকে দেখবার জন্য বিজ্ঞানীদের অতিমাত্রায় বড় টেলিস্কোপ প্রয়োজন আর এই টেলিস্কোপ এর ব্যাস অথবা ডায়ামিটার কে পৃথিবীর ডায়ামিটারের সমান হতে হবে । যেটা বানানো সত্যিই অসম্ভব এখনো অব্দি । এই কারণেই বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাকহোলকে কাছে থেকে দেখার জন্য অন্য কোন পদ্ধতি আবিষ্কারের চেষ্টা করছে । কিন্তু আপনার মনে এখনো সেই প্রশ্ন বিদ্যমান যে, যদি বিজ্ঞানীরা নাই দেখে থাকে তাহলে কি করে জানে যে ব্ল্যাকহোল আছে ?
তার উত্তর হল, আসলে আমরা সকলেই জানি আলো ফাঁকা জায়গায় সব সময় সরলরেখা বরাবর চলে । কিন্তু মহাবিশ্বের কোনো কোনো স্থানে আলোর কণা বেঁকে যায় । অর্থাৎ আলোর এই বেঁকে যাওয়ার ঘটনা ভৌত বিজ্ঞানের নিয়মের সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে । যা শুধুমাত্র ব্ল্যাকহোলের ইভেন্ট হরাইজনের জন্যই সম্ভব । ঠিক এই কারণেই বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্ব প্রমাণ পেয়েছেন বা বলা যেতে পারে যে বস্তুটি সেখানে রয়েছে তাকে ব্ল্যাকহোল নাম দেওয়া হয়েছে । আমাদের গ্যালাক্সি অর্থাৎ আকাশগঙ্গার মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে পঞ্চাশটার বেশি এমন জিনিস পাওয়া গেছে যেগুলির মাঝখান দিয়ে আলোকরশ্মি প্রবেশ করতে পারেনা । তারা ব্ল্যাকহোলের মতোই আচরণ করে । আকাশগঙ্গা গ্যালাক্সি মাঝখানেও একটি ব্ল্যাকহোল রয়েছে । এর ঘনত্ব ও ভর 4.3 মিলিয়ন সোলার মাষ । অর্থাৎ আমাদের সূর্য থেকে ১৫ গুণ বেশি । এই ব্ল্যাকহোলের ইভেন্ট হরাইজনের পরিধি ১ মিলিয়ন কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত । জাস্ট কল্পনা করে দেখুন । ১৯৬৪ সালে এটির অস্তিত্ব আবিষ্কার করা হয়েছিল । এটি আমাদের পৃথিবী থেকে ৬১৯৭ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত । M-87 নামের গ্যালাক্সির মাঝেও একটি ব্ল্যাকহোল রয়েছে । এর ভর 4 Billion Solar Mass. বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার করা এখনো পর্যন্ত সবথেকে বড় ব্ল্যাকহোলের নাম হল S50014+81. যার ভর আমাদের সূর্যের ভরের থেকে ৪০ বিলিয়ন গুণ বেশি । এই ব্ল্যাকহোলের ঘনত্ব ও প্রকৃতি আমাদের আকাশগঙ্গার ব্ল্যাক হোল থেকে Signas X1 এর থেকে ১০ হাজার গুণ বড় । অর্থাৎ এর পরিধি আমাদের সূর্য ও প্লুটোর ব্যবধানের ৪০ গুন বেশী । পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ১২.০৭ বিলিয়ন আলোকবর্ষ । এইসব তথ্য জানার পরে শেষে একটাই প্রশ্ন আসে সেটা হলো এই ব্ল্যাকহোলের ধ্বংস কিভাবে হয় ?
এটা জানার জন্য আগে আমাদের স্টিফেন হকিং এর হকিং রেডিয়েশন থিউরিটিক্যাল বুঝতে হবে । হকিংয়ের রেডিয়েশন থিওরি অনুযায়ী ব্ল্যাকহোলের ইভেন্ট হরাইজন বেশি ফ্লাকচুয়েশন অর্থাৎ তরঙ্গায়িত হয় । যার ফলে বিপরীতমুখী ভার্চুয়াল পার্টিকেল তৈরি হয় । এগুলি পজেটিভ ও নেগেটিভ গতিতে চলে । এই বিপরীতমুখী কণাগুলো একে অপরের সাথে বিক্রিয়া করে ধ্বংস হয়ে যায় আর স্পেস এর ব্যালেন্স বজায় থাকে । কিন্তু ব্ল্যাকহোলের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হয় না । কারণ এর কেন্দ্রের প্রবণ মহাকর্ষীয় বল কণাগুলোকে ইভেন্ট হরাইজনের রেডিয়েশন রূপে ছড়িয়ে দেয় । একে হকিং রেডিয়েশনও বলা হয় । নেগেটিভ কণা ব্ল্যাকহোলের ভেতরে যত বাড়তে থাকে এর শক্তি ততই কমতে থাকে । কোন ব্ল্যাকহোল যদি একটি পাথরের টুকরোর ঘনত্বের হয় তাহলে ৩০ থেকে ৩২ ডিগ্রি তাপ উৎপন্ন করে যা আমাদের রুমের তাপমাত্রার মতই । আর ব্ল্যাকহোলের ঘনত্ব যদি একটি পাহাড়ের সমান হয় তাহলে এটি সূর্যের মতো তাপ উৎপন্ন করে । ব্ল্যাকহোল ধ্বংস হওয়ার সময় যে বিস্ফোরণ ঘটে তাতে লক্ষ-কোটি নিউক্লিয়ার বোম একসাথে ফাটার মত শক্তি উৎপন্ন করে এবং পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় । এখনো পর্যন্ত সবথেকে বড় ব্ল্যাকহোল ধ্বংস হবে S50014+8. যার ধ্বংস হতে সময় লাগবে এখনো 1 Google Years. অর্থাৎ ১ এর পেছনে ১০০ টা শূন্য । আপনি হয়তো এতক্ষনে বুঝেই গেছেন যে জিনিস সৃষ্টি হয় এই মহাবিশ্বে সেই জিনিসের ধ্বংসও অনিবার্য । কিন্তু এই ব্ল্যাকহোল ধবংসের ভয়ঙ্কর সুন্দর দৃশ্যকে দেখার জন্য তখন পৃথিবীতে আর কোন প্রাণীই বেঁচে থাকবে না । এমনকি পৃথিবীটাই বেঁচে থাকবে না ।
তো বন্ধুরা যদি ভালো লেগে থাকে তবে লাইক কমেন্ট এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন যাতে আর্টিকেলটি সবার মধ্যে পৌঁছাতে পারে । পাশাপাশি AHK Global Fiction ব্লগটিকেও সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন যাতে সবার আগে আর্টিকেলটি আপনার কাছে পৌঁছে যায় । চাইলে আমাদের ফেসবুক পেজটাও ফলো করতে পারেন । অসংখ্য ধন্যবাদ এত দীর্ঘ সময় নিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ।
Admin
AHK Global Fiction
একটি বিজ্ঞানভিত্তিক বাংলা ব্লগ বা ওয়েবসাইট। এটি সাম্প্রতিক সময়েই যাত্রা শুরু করে । এটি এই ব্লগের সমস্ত কনটেন্টগুলোকে মানুষের সহজবোধগম্য করার জন্য একটি YouTube চ্যানেল প্রতিষ্ঠা করে । আমাদের এই ব্লগের সমস্ত কনটেন্ট যদি আপনার পড়তে ভালো না লাগে তাহলে সরাসরি আমাদের অফিসিয়াল চ্যানেলে চলে যান আর সেখান থেকে ভিডিও দেখে আসুন । আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ...
Follow her @ YouTube | Facebook | Twitter
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন